ঢাকা ২রা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
পাকিস্তান জাতীয় দলের তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালে ফিক্সিং কান্ডে নিষিদ্ধ হয়ে ৫ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে দূর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও সর্বশেষ ২ বছর নিয়মিত পারফর্ম করতে না পারায় জাতীয় দলে জায়গা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরের দলে জায়গা না পাওয়া আমির মানসিক হতাশায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। আর দায় চাপান দুই কোচ মিসবাহ ও ওয়াকার ইউনিসের উপর।
এবার আমিরের অবসর প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মিসবাহ উল হক। আমিরের দেয়া সব অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে মিসবাহ জানান অবসরের পরিস্থিতি স্বয়ং আমিরের সৃষ্টি।
মিসবাহ জানান, মানসিক অত্যাচার কিংবা আর সইতে না পারার যে অবস্থা, সেটা আলোচনার মধ্যে কখনওই ছিল না। কেননা পারফরম্যান্সজনিত কারণে দলে ‘অটো চয়েজ’ ছিলেন না আমির এবং তাকে বলা হয়েছিল, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ফর্মের প্রমাণ দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরতে। তা না করে উল্টো অবসরই নিয়ে ফেলেছেন আমির।
‘আমিরের বাদ পড়ার ক্ষেত্রে ওয়াকার ইউনিসকে জড়িয়ে অনেক কথা শোনা গেছে। যেখানে সত্যের ছিটেফোঁটাও নেই। সেখানে নির্বাচক হিসেবে ছিলেন ছয় অ্যাসোসিয়েশনের কোচ, আমি ছিলাম প্রধান নির্বাচক, এমনকি অধিনায়কও ছিল। তাই কারও একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব ছিল না।
‘পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কেউই আমিরকে দলের নেয়ার পক্ষে ছিল না। আমি জানি না কী কারণে সে (আমির) এসব বানিয়েছে, যা কি না কখনও আলোচনায়ই ছিল না। তার জন্য বিষয়টা খুব সহজ ছিল, (ঘরোয়া ক্রিকেট) মাঠে নেমে নিজের ফর্মের প্রমাণ দিয়ে দলে ফেরা। এর বাইরে বাকি সবকিছুই অপ্রাসঙ্গিক।
অন্যান্য জুনিয়র পেসাররা আরও ভালো করায়, আমিরকে দলে রাখার কোনো কারণ ছিল না। মাঠের ভালো করতে না পারায় দল থেকে বাদ পড়া কিংবা পরে অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া- সবকিছুর দায় আমিরকেই নিতে হবে বলে মনে করেন মিসবাহ।
তার ভাষ্য, ‘আমিরের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আমি সবসময় সকল সিনিয়র বা জুনিয়র ক্রিকেটারকে সম্মান করেছি। সে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর আমিই দলের অধিনায়ক ছিলাম এবং সবকিছু ভুলে স্বাগত জানিয়েছিলাম, পাকিস্তানের হয়ে খেলতে সাহস জুগিয়েছিলাম।’
‘আমার মনে, ২০২০ সালের ইংল্যান্ড সফরে তাকে দলে পেতে আমি অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু সে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শুরু যায়নি। পরে ব্যক্তিগত সমস্যা মিটিয়ে আমাকে জানায় যে, সে খেলতে পারবে। তখন আমি এবং ওয়াকার ভাই-ই তাকে দলে ফেরাই। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে বাড়তি সম্মানও দেই। এরপর সে ইনজুরিতে পড়ে, যা পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলে।
‘গতবছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা তাকে সরাসরিই বলেহি যে, এ সিরিজে মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস রউফ, মুসা খানদের মতো তরুণ বোলারদের খেলাবো। তারপর আমরা তাকে (আমির) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দেখলাম। যেখানে তার দলের (নর্দার্ন) অন্যান্য বোলাররা তার চেয়ে ভাল করছিল। সে কয়েকটা ম্যাচ খারাপ করে এবং দলে জায়গা ফিরে পেতেও লড়াই করতে হচ্ছিল।’
‘তাই তার জন্য খুবই সহজ একটি পরিকল্পনা ছিল। ইংল্যান্ডে আমরা তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা তাকে বলেছি যে, তুমি আমাদের সিনিয়র বোলার। যেহেতু তুমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছ, আমরা আশা করব সর্বোচ্চটা দেবে মাঠে। চার ওভারে নিজের পুরোটা ঢেলে দিতে হবে, দলকে এগিয়ে নিতে হবে, এটাই তোমার দায়িত্ব। কিন্তু এরপর তা হলো না। গড়ে ৮৭-৮৮ মাইল/ঘণ্টা বেগে বোলিংয়ের সামর্থ্য থাকার পরেও, দেখা গেলো ৮১ মাইলে বোলিং করছে।’
‘এমন হলে দলে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা শাহিন আফ্রিদি, হাসনাইন, হারিস রউফরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিচ্ছিল মাঠে এবং প্রমাণ করছিল তারা আমিরের চেয়ে ভাল। তাই তাকে এ প্রতিযোগিতায় জিতেই দলে ফিরতে হতো। সিনিয়র বোলার হলেও, ফর্ম না থাকলে তাকে দলে নেয়া সম্ভব নয়। এখানে শুধু পারফরম্যান্সেরই বিষয় ছিল। অন্য কিছু নয়। এখানে ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ের জায়গা নেই।
-জাগোনিউজ
এ্যাডভোকেট রিদুয়ানুল হক শাকিল
জজকোর্ট, চট্টগ্রাম।
যোগাযোগ: মোস্তফা মৃধা বাড়ী, মধ্য পাড়া, পান্ডুঘর-৩৪৬১, বাঙ্গরা বাজার, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
ইমেইল- jobayershopnoghuri@gmail.com
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বপ্নঘুড়ি.কম এ প্রকাশিত লেখা কপি করা নিষেধ Developed by Sazal Ahmed